• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ Mostbet App Download For Android Apk And Ios 2023 Mostbet 314 Casino Azərbaycanda Bukmeker Kontoru Mostbet Azerbaycan Yukle Android Os Apk Və Ios App-d Mostbet Az-90 Kazino Azerbaycan ən Yüksək Bukmeyker Rəsmi Sa 0898520760 ফের আগ্রাসনের চেষ্টা করলে ইসরায়েলকে শক্তিশালী জবাবের হুঁশিয়ার ইরানের গাজায় এক গণকবরেই মিলল ৩০০ লাশ ইসরায়েলের গভীরে হামলার দাবি হিজবুল্লাহর বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক দুর্নীতির একটা সীমা থাকে, এটা সাগরচুরি বেনজীরের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট প্রভাবমুক্ত থেকে দুদককে অনুসন্ধান করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের বৈঠক কাতারের সঙ্গে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই রেয়াত সুবিধা বাতিল, ঢাকা থেকে ১৫ রুটে যত বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া চলমান তাপপ্রবাহ আরো কতদিন থাকবে, যা জানা গেল

ফিটনেসবিহীন লঞ্চগুলো রঙের প্রলেপে নতুন হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের একটি বড় অংশের অন্যতম বাহন লঞ্চ। নিয়মিত যাতায়াতের পাশাপাশি প্রতিবছর ঈদে সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায় অসংখ্য লঞ্চ। গত দুই বছর করোনা বিধিনিষেধের কারণে ঈদযাত্রা স্বাভাবিক ছিল না। কিন্তু এবার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন লঞ্চমালিকরা। সেই লক্ষ্যে চলছে প্রস্তুতি। এরই অংশ হিসেবে পুরোনো লঞ্চে রং লাগিয়ে নতুন রূপ দেওয়া হচ্ছে। চলছে শেষ মুহূর্তের ঝালাই কাজ। এর মধ্যে ফিটনেসবিহীন লঞ্চও রয়েছে বলে জানা গেছে। এসব কাজে ডকইয়ার্ডে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা।

রাজধানীর কেরানীগঞ্জের লাকী ডক ইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার ওয়ার্কস-এ দাঁড়িয়ে আছে ঢাকা-গৌরনদী রুটের এম ভি মানসী। পুরোনো এই লঞ্চ মেরামতে কাজ করছেন প্রায় ১৫ জন শ্রমিক। তারা এটিকে ঝালাই করে রং লাগিয়ে সংস্কার করছেন। দেখা যায়, কয়েকজন শ্রমিক লঞ্চের প্লেটের যেসব জায়গায় মরিচা ধরে পাতলা হয়ে গেছে, সেগুলো ঝালাই করছেন।

এই ডকইয়ার্ডের শ্রমিক টিপু বলেন, লঞ্চটি অনেক পুরোনো তবে ঈদ উপলক্ষে এটিকে আরও সংস্কার করার জন্য এখানে আনা হয়েছে। দুই/তিনদিনের মধ্যে এটি আবার পানিতে নামবে।

একইভাবে ঢাকা-বোরহানউদ্দীন রুটের গাজী লঞ্চে মেরামতের কাজ চলছে। লঞ্চটি দেখতে বেশ পুরোনো হলেও রঙ লাগিয়ে সেটিকে আকর্ষণীয় করা হচ্ছে।

শ্রমিকরা জানান, এই লঞ্চটি এক সাপ্তাহ আগে ডকইয়ার্ডে এসেছে। ২৩ বা ২৪ এপ্রিল এটিকে আবার যাত্রী পরিবহনের জন্য ঘাটে নামবে। এই লঞ্চে কাজ করা শ্রমিক জলিল বলেন, এই লঞ্চে শুধু ছোটো-খাটো কাজ করার জন্য বলা হয়েছে আমাদের ঠিকাদারকে। বড় ধরনের অনেক কাজের প্রয়োজন থাকলেও সেটি করাচ্ছেন না লঞ্চমালিকরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, এভাবে কেরানীগঞ্জের তেলঘাট থেকে মীরবাগ পর্যন্ত ডকইয়ার্ডগুলোতে ঘাটে বসে থাকা ফিটনেসবিহীন ও পুরোনো লঞ্চ এনে রঙ ও সংস্কার করছেন মালিকরা। এছাড়াও বাহাদুর শাহ ডকইয়ার্ডে এম ভি ফারহান-২, এমভি রাজহংস-৭, এমভি জামাল-৯ লঞ্চ সংস্কারের কাজ চলছে। মূলত অবকাঠামোগত ভিত্তি মজবুত না করেই যাত্রীদের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য শুধু রং লাগিয়ে সংস্কার করছেন তারা।

জানা যায়, গত দুই বছরের একটা বড় সময় লঞ্চচলাচল বন্ধ ছিল। তাই এবছর রমজানের আগ থেকেই মালিকরা লঞ্চ সংস্কার ও রঙের জন্য ডকইয়ার্ডে নিয়ে আসছেন। ঈদের আগ মুহূর্তে প্রতিটি ডকইয়ার্ডে হরদম চলছে পুরোনো লঞ্চ মেরামত ও রঙের কাজ।

এ বিষয়ে ডকইয়ার্ড শ্রমিক সমিতির সভাপতি কামাল জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের সময় আসলে বিভিন্ন পুরাতন লঞ্চ ডকে আনা হয়। কোনোরকম রঙ আর ঝালাই করে মালিকরা আবার সেটি নিয়ে যাত্রী পরিবহনে ব্যবহার করেন। আমি নিজেও ঠিকাদার। মালিকরা কাজ দেন। নিয়ম হচ্ছে প্রতি এক বছর বা দুই বছর পরপর লঞ্চ ডকে আনা। কিন্তু এখানে এমন লঞ্চও আসে যেগুলো পাঁচ/ছয় বছর পরপর আনা হয়। আমি নাম বলতে চাচ্ছি না তাদের। আবার অনেক লঞ্চ দীর্ঘদিন না চললেও ঈদ উপলক্ষে সেগুলাকে ডকে নিয়ে এসে কোনোরকম মেরামত করেন।

তিনি বলেন, লঞ্চমালিকরা শিপিং সার্ভেয়ারদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ফিটনেস পরীক্ষা না করেই ডকে নিয়ে আসে। আবার সার্ভেয়াররা সম্পূর্ণ ফিটনেস পরীক্ষা না করে সার্টিফিকেট দেন, চলাচলের অনুমতি দেন।

এ বিষয়ে লঞ্চমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারি বলেন, আমাদের একটি লঞ্চ কমপক্ষে ৪০ বছর চলতে পারে। করোনার কারণে যাত্রী না থাকায় কিছু লঞ্চ চলেনি। হয়তো সেগুলোকে আবার ডকে নিয়ে রং করা হয়। কিন্তু পুরোনো বলতে কোনো কথা নেই।

সার্ভের বিষয়ে তিনি বলেন, সার্ভেয়ারের অনুমতি ছাড়া আমাদের কোনো লঞ্চ চলে না। সার্ভেয়ারকে বলেই লঞ্চ ডকে পাঠানো হয়। এখন দুই/একজন আছে, তারা ভিন্ন কিছু করতে পারে। সেটা তো আমরা জানি না।

এ বিষয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের শিপ সার্ভেয়ার প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, মূলত আমাদের অধিদপ্তরে রেজিস্ট্রারের তথ্য দিয়ে ডকইয়ার্ডে লঞ্চ নেওয়ার নিয়ম। কিন্তু অধিকাংশ লঞ্চমালিকরা না জানিয়েই ডকইয়ার্ডে নিয়ে যান। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করা থাকে না। আমরা নিয়মিত লঞ্চের ফিটনেস দেখেই সার্ভে সার্টিফিকেট দিয়ে থাকি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর সদরঘাট থেকে প্রতিদিন দেশের ৪২টি রুটে ২২৫টি লঞ্চ চলাচলের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন সদরঘাট থেকে ৫৫ থেকে ৬৫টি লঞ্চ ছেড়ে যায় এবং ঘাটে ফিরে আসে। অন্যদিকে অনুমতি থাকা সত্ত্বেও সিন্ডিকেট করে কম লঞ্চ দিয়ে বেশি যাত্রী আনা নেওয়া করা হয়। ঈদ মৌসুম এলে পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ লঞ্চ ডকে নিয়ে কোনোরকম সংস্কার করে রঙের প্রলেপ দিয়ে ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে ঝুঁকি নিয়েই এসব লঞ্চে চলে ঈদযাত্রা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.